যখন দুই বা ততোধিক মৌল বা যৌগ রাসায়নিকভাবে মিলিত হয়ে এক বা একাধিক ভিন্ন যৌগ উৎপন্ন করে তাকে বিক্রিয়া বা রাসায়নিক বিক্রিয়া বলে। রসায়নের পরিভাষায় দুই বা ততোধিক মৌল বা যৌগের পরস্পর যুক্ত হওয়ার পদ্ধতিকে বিক্রিয়া বলে। বিক্রিয়ায় মূলত পরমানু বা ইলেকট্রনের আদান-প্রদান ঘটে।
সবুজ রসায়ন হচ্ছে, ‘শ্রমজীবী এবং ভোক্তাদের ক্ষেত্রে প্রতীয়মান ঝুঁকিপূর্ণ পদার্থের ব্যবহার এবং উৎপাদন হ্রাস অথবা অপসারণকল্পে রাসায়নিক উৎপাদ এবং প্রক্রিয়ার আবিষ্কার, ডিজাইন এবং প্রয়োগ’। অথবা, ঝুঁকিপূর্ণ পদার্থের হ্রাসকরণ অথবা, এদের ব্যবহার ও উৎপন্নের অপসারণকল্পে রাসায়নিক উৎপাদের এবং প্রক্রিয়ার ডিজাইনকে সবুজ রসায়ন বলে।
এ উদ্দেশ্য অর্জনে পাউল টি অ্যানাসতাস (Paul T. Anastas) এবং জন সি ওয়ার্নার (John C. Warner) 1991 সালে সবুজ রসায়নের ১২ টি নীতিমালা প্রণয়ন করেন। নীতিমালাসমূহকে ‘ঝুঁকি হ্রাসকরণ’ ও ‘পরিবেশগত দূষণ সীমিতকরণ’ নামক দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়।